শাহেদ মিজান, সিবিএন:

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে কক্সবাজার ও আশের পাশের এলাকা এবং পর্যটন স্পটগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এছাড়া পর্যটন এলাকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ ও র‍্যাব সদস্য জোরদার থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
টুরিস্ট পুলিশ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কক্সবাজারে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। ভ্রমণরত পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশের কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের নব নিযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানিয়েছেন, সমুদ্রসৈকতসহ অন্যান্য পর্যটন স্পটে পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে পারেন সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ এবং গেস্ট হাউজগুলোতে যাতে পর্যটক হয়রানি কিংবা প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত মূল্য গ্রহণ করতে না পারে সে ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ রয়েছে পুলিশ।

তিনি আরো জানিয়েছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় নজরদারির জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম সাদা পোশাকে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। পর্যটক ও দর্শনার্থীদের তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ৬টি ‘ট্যুরিস্ট হেল্প ডেস্ক’ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি হেল্প ডেস্কে ফাস্ট এইড বক্স সরবরাহের মাধ্যমে পর্যটকদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সমুদ্র সৈকত, হোটেল মোটেল জোন, ঝাউবাগান এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ছিনতাই প্রতিরোধ, ইভটিজিং বা পর্যটক হয়রানি রোধে সার্বক্ষণিক বিচ বাইক, ওয়াটার বাইক, মোটরসাইকেল পেট্রোলিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে বিশেষ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, কক্সবাজার শহর, পর্যটন স্পটের আশাপাশের এলাকাসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রমজানের শুরু থেকে নজরদারি জোরদার করা হলেও ঈদ উপলক্ষ্যে তা শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। শহরের ঝুঁকিপূর্ণ মোড়ে মোতায়ের করা হয়েছে পুলিশ। নিয়মিত টহল দিচ্ছে ভ্রাম্যমান টিম এবং সিসিটিভির মাধ্যমে পুরো শহরে নজরদারি রাখা হচ্ছে।

ঈদের সাতদিন পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন তথ্য মিললেই সাথে সাথে একশনে যাবে পুলিশ।
র‍্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল খায়রুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, পুরো কক্সবাজারে সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে র‍্যাব সবসময় নজরদারি রাখে। রমজানের শুরু থেকে তা আরো বাড়ানো হয়। এর অংশ হিসেবে শহর থেকে প্রায় অর্ধশত ছিনতাইকারীকে আটক করে র‍্যাব।

তিনি আরও বলেন, ঈদে যেহেতু নিরাপত্তার বিষয়টি আরো গুরুত্ব দেয়া দরকার তাই ঈদের ছুটিতে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখতে র‍্যাবের কয়েকটি টহল দল রাতদিন নিয়মিত টহলে থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকেও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে দায়িত্ব পালন করবে র‌্যাব সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কক্সবাজারে শহরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রেক্ষিতে অপরাধ রোধে কঠোর হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলো। বিশেষ করে পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎপরতা চলছে নিয়মিত। নানাদিক থেকে সমালোচনা সৃষ্টির পর থেকে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। র‍্যাবও নিরবচ্ছিন্ন অভিযান চালাচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে শহরের বহু পেশাদার ছিনতাইকারী এবং তাদের কয়েকজন হোতাকে গ্রেপ্তার